স্বাধীনতার পর শুরু হওয়া চক্রান্ত এখনো শেষ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতার পর শুরু হওয়া চক্রান্ত এখনো শেষ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতার পর শুরু হওয়া চক্রান্ত এখনো শেষ হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতার পর যে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল সেই চক্রান্ত এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে এই ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রলীগ।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশকে কি দিয়েছে- এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলেছিল। জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিল। যাদেরকে আমরা পরাজিত করেছি তাদের পদাঙ্ক অনুসরণের চেষ্টা হয়েছিল। স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার চেতনা নস্যাৎ হয় সেই চেষ্টা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আজকে কোনো হত্যা হলে বিচার চায়। অনেকে আন্তর্জাতিক সংস্থা বিচার চায়। ১৫ আগস্ট যখন মা-বাবা, ভাই হারালাম আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। ইনডেমনিটি করে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করিনি। জাতির পিতা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার স্বপ্ন পূরণের প্রতিজ্ঞা নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ পুনর্গঠন করেছিলেন। তার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। জাতির পিতাকে যখন হত্যা করা হলো তখন স্বাধীনতার চেতনাকে নষ্ট করা হলো। শেখ মুজিব যতটুকু করে গিয়েছিলেন সব ধ্বংস করা হয়েছে।

২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি সারাদেশ জঙ্গীদের দেশ লুটপাটের দেশে পরিণত করেছিল- বলেন তিনি।

তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ, দুর্বিপাকে সবসময় ছাত্রলীগ এগিয়ে আসে। করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে। দুর্যোগে ছাত্রলীগ যখন মানুষের পাশে দাঁড়ায় তখন গর্বে আমার বুক ভরে যায়।

এর আগে পৌনে চারটায় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ছাত্র সমাবেশ শুরু হয়। পরে ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদ স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। পরে শেখ হাসিনাকে ব্যাজ পরিয়ে দেন ছাত্রলীগ নেত্রীরা। এরপর ছাত্রলীগ প্রকাশিত 'মাতৃভূমি' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

পাঠকের মন্তব্য