এক ক্যারিশম্যাটিক লিডার ডা. দীপু মনি

এক ক্যারিশম্যাটিক লিডার ডা. দীপু মনি

এক ক্যারিশম্যাটিক লিডার ডা. দীপু মনি

রাজনীতি যদি মানুষের কল্যাণের জন্যে হয় তবে এমন রাজনীতি করা মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করা মানুষের সংখ্যা কতজন? রাজনীতি করতে হলে, মানুষের মনের গহীনে আসন করে নিতে হলে নিজস্ব সক্রিয়তা দিয়ে মানুষের জন্যে কাজ করার মধ্যেই নিজেকে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তুলে ধরা যায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা এমন রাজনীতি করা মানুষগুলোকেই তুলে এনে স্থান করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। বঙ্গবন্ধু যেমন চিনে নিয়েছিলেন জাতীয় চার নেতাকে, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যাও কয়েকজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করা মানুষকে সাহচর্যে রেখেছেন।

 

সহনশীলতা, ঔদার্য, বিনয়, ভদ্রতা একজন মানুষকে নিয়ে যেতে পারে রাজনীতির শিখরে। দীপু মনি তাঁদেরই একজন। অনেক সময় অবাক বিস্ময়ে ভাবি, একজন রাজনীতিবিদ কতটুকু মার্জিত রুচি, ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধসম্পন্ন এবং বিনয়ী হতে পারেন। কীভাবে মানুষকে আপন করে নিতে হয়, কীভাবে মানুষকে মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করতে হয় তা দীপু মনির কাছ থেকে শেখা যায়। চরম সঙ্কটেও যিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি অবিচল থাকেন। তাইতো তিনি দীপু মনি, আমাদের অহঙ্কার।

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পেয়েই চমক দেখিয়েছেন । তাঁর ক্যারিশম্যাটিক গুনে এই মন্ত্রনালয়ের নানা কাজে গতি পেয়েছে। প্রথম চমকটিই ছিল প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করে সুষ্ঠু পরীক্ষা নিশ্চিত করা। তিনি তাই করে দেখিয়েছেন। 

একটি রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নিয়ে রাজনীতিকেই পাথেয় করে নিয়েছেন। নিজেকে সঁপে দিয়েছেন মানুষের কল্যাণে। বাবা এমএ ওয়াদুদ। একজন ভাষাবীর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাংবাদিক। বাংলাভাষা, স্বাধিকার ও জনগণের সার্বিক মুক্তির আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কর্মাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ছাত্রলীগের প্রথম কাউন্সিলে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার কারণে কারাবরণ করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৮৩ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা ভাষা, স্বাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সকল আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোততভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর। মা রহিমা ওয়াদুদ অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা।

 

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এমবিবিএস (ডিএমসি), এলএলবি (এনইউ) পিএইচ (জন্স হপকিন্স)। দ্বন্দ্ব নিরসন, মধ্যস্থতা ও সমঝোতা বিষয়ে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি রাজনীতিবিদ, পেশাগতভাবে আইনজীবী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক।

রাজনৈতিক যোগ্যতা : সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জাতীয় সংসদ সদস্য, ২৬২-চাঁদপুর-৩; সভাপতি : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ; সদস্য : প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি; সদস্য : স্থানীয় সরকার নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দলের অন্যতম মুখপাত্র। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঢাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

 

সাংগঠনিক দক্ষতা : চেয়ারপার্সন-আইপিইউ ফোরাম অব উইমেন পার্লামেন্টেরিয়ান্স; সিনেট সদস্য : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; চেয়ারপার্সন : বোর্ড অব ট্রাস্টি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, চট্টগ্রাম।

 

ডাঃ দীপু মনি প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি এবং নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ততায় একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের নারী কর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা ও মাস্টার ট্রেইনার। ডিএমসি-এর সন্ধানীর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। কেন্দ্রীয় সন্ধানীর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক।

ডাঃ দীপু মনির যত সাফল্য :

ক) ভারত এবং মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

খ) বাংলাদেশ-ভারতের ল্যান্ড বাউন্ডারী নির্ধারণে ভূমিকা রাখেন।

গ) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বহিঃবিশ্বে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখেন।

ঘ) ডাঃ দীপু মনি (ঈড়সসড়হবিধষঃয গরহরংঃবৎরধষ অপঃরড়হ এৎড়ঁঢ়-ঈগঅএ) এর প্রথম মহিলা এবং দক্ষিণ এশীয় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়ে দেশের জন্য অনন্য সম্মান বয়ে আনেন।

ঙ) সৌদি আরবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ইকামা পরিবর্তনের সুযোগ পুনরায় চালু করায় নিরলস ভূমিকা রাখেন।

চ) মালয়েশিয়ায় ২ লক্ষ ৬৮ হাজার শ্রমিককে বৈধকরণে ভূমিকা রাখেন।

ছ) ডাঃ দীপু মনির নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাথে তাঁর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। তাঁর সহজাত বাচনভঙ্গি এবং আচরণ দিয়ে মানুষের মন জয় করার এক বিরল ব্যক্তিত্ব তিনি।

জ) তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে তাঁর রয়েছে নাড়ির সম্পর্ক। নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি আইডল হিসেবে পরিচিত।

ঝ) সবসময়ই সুবিধাবাদী ও স্বার্থান্বেষীদের তিনি এড়িয়ে চলেন।

ঞ) খ-কালীন শিক্ষক ওটই, চঅঞঈতে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং ঘউঈতে নিয়মিত লেকচার প্রদান করছেন।

অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার ফেসবুক থেকে ...   

পাঠকের মন্তব্য